মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন
গ্রেফতার শাহীন কুড়িগ্রামের গছাকাটা থানার নয়ানা গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে ও নাজমুল একই এলাকার সাহেবের ঘাস গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে। তারা ডেমরায় বাদশা মিয়া রোড এলাকায় বসবাস করতেন। অন্যান্য আসামিরা হলেন- বাদশা মিয়া রোডের ৬নং গলির স্যাটেলাইট গার্ডেনের বিল্লাল হোসেনের ছেলে মো. সাদ্দাম (৩০), ওই ভবনের কেয়ারটেকার আশিক (৩০), সহযোগী মো. শফিকুল (২৬), আজিজার (২৬) ও লেবার ঠিকাদার সোহাগ (৩০)।
ডেমরা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সুব্রত কুমার পোদ্দার বলেন, ‘তদন্ত সাপেক্ষে আমরা জানতে পারি যে নিহত রাকিব কোথাও চুরি করতে গিয়ে মানুষের সামনে পড়লে ইউসুফ নামের এক ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে বলেন তাকে চিনতে পারেন কি না। এদিকে রাকিব গত ৩ জুন রাতে ওই ভবন থেকে একটি মোবাইল চুরি করে আনেন যার ভিডিও সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা রয়েছে। ওই ভিডিও দেখেই ভবন সংশ্লিষ্ট আসামিরা রাকিবকে শনাক্ত করে। কাকতালীয়ভাবে গত ১৭ জুন ভোরে বাদশা মিয়া রোড এলাকায় একই শার্ট পরে গেলে আসামিরা রাকিবকে চিনে ফেলে। এ সময় ওই জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে ইট ছুড়ে মেরে কৌশলে রাকিব পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। ওই সময় তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।’
শিগগিরই অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানান সুব্রত কুমার।
এদিকে রাকিবের স্ত্রী মোছা. মুন্নি বলেন, ‘বাদশা মিয়া রোডের ৬নং গলির স্যাটেলাইট গার্ডেন-২ ভবনের মালিক আনোয়ার মৃধার নির্দেশেই রাকিবকে হত্যা করা হয়েছে। তাকে আমরা মামলার প্রধান আসামি করতে চেয়েছি, কিন্তু পুলিশ তাকে আসামি করেনি। আনোয়ার মৃধার পক্ষ থেকে আমাকে অনেক টাকার লোভ দেখানো হয়েছে মামলা না করার জন্য। কিন্তু আমি আমার স্বামী হত্যার সঠিক বিচার চাই।